১ম বন্ধু: জানিস, আমার ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস—সব কটিতে অ্যাকাউন্ট আছে।
২য় বন্ধু: বলিস কী! তোর তো তাহলে জীবন বলে কিছু নেই।১ম বন্ধু: তাই তো! জীবনের লিঙ্কটা দিস তো!
😐😐😐😐ঝন্টু বলছে মন্টুকে—জানিস, লিপি আমার হূদয় ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু আমার চেয়ে ও বেশি কেঁদেছে।
মন্টু: কেন?
ঝন্টু: কারণ, প্রতিবাদস্বরূপ আমি ওর নতুন আইফোনটা ভেঙে দিয়েছি।
😐😐😐😐জসিম ফোন করলেন কম্পিউটারের দোকানে। বললেন, আমার কম্পিউটারের কোনো কিছুই কাজ করছে না। আমি, আমার ছেলে, আমার স্ত্রী—কেউই কাজ করতে পারছি না।
ওপাশ থেকে বলা হলো, আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম কোনটা, জানেন?
জসিম বললেন, অবশ্যই! ফেসবুক!
😐😐😐😐সর্দারজি ফোন করলেন এয়ারকন্ডিশনার সারাইয়ের দোকানে। বললেন, কী মুশকিল বলুন তো, আমার এয়ারকন্ডিশনারটা সকাল থেকে কাজ করছে না।
দোকানদার বললেন, এক কাজ করুন। এয়ারকন্ডিশনারের প্লাগটা খুলে আমার কাছে নিয়ে আসুন।
কিছুক্ষণ পর সর্দারজি দোকানে হাজির হলেন, হাতে এয়ারকন্ডিশনারের প্লাগ!
😐😐😐😐কেরামত মিয়া প্রথম ঢাকায় এসেছেন তাঁর ছেলে বশীরকে সঙ্গে নিয়ে। বাপ-ছেলে বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন একটা লিফটের সামনে। কী তাজ্জব যন্ত্র!
লিফটে উঠলেন একজন বৃদ্ধা। দরজা বন্ধ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর আবার দরজা খুলল। লিফট থেকে বের হয়ে এলেন এক তরুণী।
কেরামত বললেন, কইরে বশীর, জলদি গ্রামে যা। তোর মারে নিয়ে আয়!
😐😐😐😐ছোট্ট ছেলে বাবলু প্রযুক্তি ব্যবহারে ওস্তাদ। কম্পিউটার, মুঠোফোন সব তার নখদর্পণে। একদিন বাবলুর বাবা তার জন্য একটা ফুটবল কিনে আনলেন।
বাবলু খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলল, বাহ্! বাবা, দারুণ! কিন্তু ব্যবহারবিধিটা কোথায়?
😐😐😐😐এক ভদ্রলোক বাজারে গেছেন কাপড় কিনতে—
ভদ্রলোক: আমাকে পর্দার কাপড় দেখান তো।
দোকানদার: কয় গজ দেব, বলুন।
ভদ্রলোক: আরে রাখেন আপনার গজ, আমাকে ১৫ ইঞ্চি কাপড় দিন।
দোকানদার: ১৫ ইঞ্চি কোনো জানালার সাইজ?
ভদ্রলোক: জানালা নয়, আমার কম্পিউটারের সাইজ।
দোকানদার: কম্পিউটারে কেউ পর্দা লাগায়?
ভদ্রলোক: আমি লাগাই, কারণ আমার উইন্ডোজ আছে।
😐😐😐😐বিমান চালনা প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষককে প্রশ্ন করল এক শিক্ষার্থী, ‘স্যার, বিমান আকাশে ওড়ার সময় হঠাৎ যদি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে নিচে পড়তে কত সময় লাগবে?’
প্রশিক্ষক: তোমার বাকি জীবন!
😐😐😐😐স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে আদালতে। তাদের শিশু বালককে প্রশ্ন করা হলো:—তুমি কার সঙ্গে থাকতে চাও—বাবার সঙ্গে, নাকি মায়ের সঙ্গে?
যার ভাগে কম্পিউটার পড়বে
😐😐😐😐—প্রোগ্রামার কেন স্ত্রীর চেয়ে কম্পিউটার বেশি ভালোবাসে?
—কারণ, কম্পিউটার কখনোই বলে না, ‘আজ বাদ দাও; আমার মাথাব্যথা করছে।’
😐😐😐😐টয়লেটে অ্যাডমিন হওয়ার চেয়ে ইউজার হওয়া ভালো।
😐😐😐😐দুই বন্ধুর কথোপকথন।
—আজ থেকে নতুন জীবন শুরু করছি।
—সিগারেট-মদ ছেড়ে দিলি?
—না, ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছি।
😐😐😐😐জামিলকে বলল শুভ: তোকে গত কদিন খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। আজ বেশ ফুরফুরে লাগছে। ঘটনা কী?’
জামিল: আর বলিস না দোস্ত, আজ একটা বিরাট কাজ করে ফেললাম। যত নষ্টের গোড়া ওই ফেসবুক। আমি তো ফেসবুক সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কিছুদিন আগে আমার প্রেমিকা মলি একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দিল। সেই থেকে ঝামেলার শুরু। অনেক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়, মেয়েরা আমার স্ট্যাটাস আর ছবিতে লাইক দেয়, কমেন্ট লেখে…মলি এসব মানতে পারত না। এসব নিয়ে ওর সঙ্গে প্রতিদিন ঝগড়া হতো। এই অশান্তি আর ভালো লাগে না। আজ এর একটা বিহিত করে ফেললাম।
শুভ: যাক, অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করেছিস তাহলে?
জামিল: ডিঅ্যাকটিভেট করব কেন? মলিকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছি!
😐😐😐😐ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলেন, কেউ একজন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে! তৎক্ষণাৎ তিনি ফোন করলেন নিজ অফিসের এক কর্মচারীকে। ‘কত বড় সাহস! আমার আ্যাকাউন্ট হ্যাক করে! এক্ষুনি খুঁজে বের করো ওই হ্যাকারকে। এক ঘণ্টার মধ্যে আমি ওর নাম-ঠিকানা জানতে চাই।’ চিৎকার করে বললেন জুকারবার্গ।
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল কর্মচারী, ‘অবশ্যই, স্যার। আমরা এক্ষুনি তাকে খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’
জুকারবার্গ: পুলিশের হাতে তুলে দিতে কে বলল! ওকে বলো, আমার কোম্পানিতে ভালো বেতনে ওর জন্য একটা চাকরি আছে!
😐😐😐😐আনিকা বলছে সজলকে, ‘ওগো, তুমি একটু পর পর স্ট্যাটাসে আমার নাম লেখো কেন?’
সজল: আমার কী দোষ? ফেসবুক একটু পর পর জানতে চায়, ‘হোয়াটস অন ইওর মাইন্ড?’
😐😐😐😐: তিন প্রোগ্রামার মিলে একসঙ্গে কোনো ব্যবসা শুরু করতে চায়। কীভাবে তা সম্ভব?
: একজন বানাবে ভাইরাস, দ্বিতীয়জন তৈরি করবে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, আর তৃতীয়জন বানাবে এমন অপারেটিং সিস্টেম, যেটাতে ওগুলো কাজ করবে।
😐😐😐😐মেয়েদের জন্য উইন্ডোজের বিশেষ ভার্সন বের করেছে মাইক্রোসফট। এতে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ বাটনের বদলে থাকবে ‘হয়তো’।
😐😐😐😐‘গতকাল একটা ফাইল ডাউনলোড করেছি ইন্টারনেট থেকে, কিন্তু ওটার প্রয়োজন আমার নেই। এখন কী করে ফেরত দেব ওটা, বুঝতে পারছি না।’
‘তোমার মতো ইউজারদের কারণে অচিরেই ইন্টারনেটে আর কোনো ফাইল অবশিষ্ট থাকবে না।’
😐😐😐😐পিসির সামনে বসে প্রোগ্রাম রচনা করছে প্রোগ্রামার। তার দৃষ্টি আকর্ষণের নানাবিধ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্ত্রী নতুন কেশবিন্যাস করল, নতুন পোশাক পরল, মেকআপ করল মন দিয়ে, তারপর তার কাছে গিয়ে বলল, ‘আমার দিকে তাকিয়ে দেখো তো। কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছো?’
স্ত্রীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে প্রোগ্রামার বলল, নতুন স্কিন?